টয়লেট পেপারের ইতিহাস: রোমানরা টয়লেট পেপার হিসেবে কাঠি ব্যবহার করতো

Predeator24
0
টয়লেট পেপার বা টয়লেট টিস্যু যে নামেই বলেন না কেন, এই পেপারের কাজ কিন্তু সবারই জানা। রেস্টুরেন্ট কিংবা চলতি পথে, নানা কাজে টিস্যু পেপার এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, টিস্যু পেপার ছাড়া এখন কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান চলেই না। খাবারের শেষে, কপালের ঘাম মুছতে, হাতমুখ ধোয়া শেষে টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ না মুছলে যেন চলেই না। ব্যক্তিগত, পারিবারিক জায়গা থেকে সামাজিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত টিস্যু পেপার এনেছে বড় পরিবর্তন। পরিচ্ছনতার ধারণা বদলে দিয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এনেছে নতুন মাত্রা।তবে মলমূত্র ত্যাগের পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য টয়লেট টিস্যুর বিকল্প আর কিছুই নেই।
আধুনিক টয়লেট পেপার আবিষ্কার হওয়ার পূর্বে মানুষ কি ব্যবহার করতো? বর্তমানে যে আধুনিক টয়লেট পেপার পাওয়া যায় তার সৃষ্টির সময়কাল আনুমানিক ২০০ বছর। ঠিক কবে থেকে টয়লেট পেপার ব্যবহার শুরু হয়েছে তার সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রাচীন চীনঃ প্রাচীন চীনের মানুষরা টয়লেট এর শেষে কাগজ ব্যবহার করত। এই কাগজ সাধারণ কাগজের চেয়ে তুলনামূলক নরম ছিলো। তবে রাজ আদালতের সদস্যরা যেসব কাগজ ব্যবহার করতেন তা আবার সুগন্ধিযুক্ত ছিল। চীনে টয়লেট পেপার ব্যবহারের প্রথম লিখিত উল্লেখ পাওয়া যায় ৫৮৯ খ্রিস্টাব্দে। যাইহোক, যেহেতু চীনারা খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীতে কাগজ আবিষ্কার করেছিল, তাই তারা নিশ্চিতভাবে ৫৮৯ খ্রিস্টাব্দের আগেও টয়লেটের উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করে থাকতে পারেন। ইতিহাস বলছে, ষষ্ঠ খ্রিস্টাব্দে চীনে টয়লেট পেপার ব্যবহার করার রীতি চালু ছিল। এরপর চতুর্দশ শতকে মিং বংশের শাসনকালে চীনের রাজ প্রাসাদে এই কাগজের ব্যবহার জনপ্রিয় হয়। ১৩৯৩ সালে শুধুমাত্র রাজ পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য বছরে ৭,২০,০০০ টুকরো টয়লেট পেপার দরকার হত। প্রতিটি টুকরোর মাপ ছিল ৬০ সেমি X ৯০ সেমি। প্রাচীন রোমঃ প্রাচীন রোমানরা একটি লাঠিতে একটি স্পঞ্জ ব্যবহার করত, যাকে বলা হয় জাইলোস্পনজিয়াম। এই নরম ডিভাইসটি ব্যবহার শেষে ভিনেগারে ভরা একটি বালতিতে ফেরত দিতে হতো, যেনো পরবর্তী তে অন্য কোনো ব্যক্তি সেটি ব্যবহার করতে পারে। এই সিরামিকের টুকরোকে বলা হত পেসসোই। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা গ্রীক সাম্রাজ্যের পাওয়া বিভিন্ন নথি থেকে এটি আবিষ্কার করেছিলেন। এমনকি একবার একটি গুহায় পাওয়া যায় সেই সময়কার মানুষের মল। যা পরীক্ষার পর পেসোইয়ের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। সেসময়ে পাবলিক টয়লেটগুলোতে গ্রীকরা পেসসোই রেখে দিত। যেই এই টয়লেট ব্যবহার করবে সেই তার শত্রুর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারল বলে ভেবে নিতে পারবে। অর্থাৎ এটিও তাদের এক ধরনের যুদ্ধ বলা যায়। শত্রুর বিরুদ্ধে কিছু করা।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top