মানব শরীরের এই ৭ লক্ষণ? বন্ধ্যাত্বের ইঙ্গিত স্পষ্ট

Predeator24
0
মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে উঠছে। প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে দম্পতিদের গর্ভধারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের বন্ধ্যাত্বের অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন- নিরোধক ব্যাধি, ফ্যালোপিয়ান টিউবে ক্ষতি, এন্ডোমেট্রিওসিস, জরায়ু বা জরায়ু সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি উপসর্গগুলি সময়মতো ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা করা হয়, তাহলে বন্ধ্যাত্ব নিরাময় করা যায়। চিকিৎসকের মতে, বন্ধ্যাত্ব সম্বন্ধিত যে উপসর্গগুলি দেখা যায়-
এন্ডোমেট্রিওসিস- কিছু মহিলাদের পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে কম ব্যথা হয় বা একেবারেই হয় না, আবার অনেক মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন প্রচণ্ড ব্যথা এবং ক্র্যাম্পের সম্মুখীন হতে হয়। এ ছাড়াও, তাদের পিরিয়ডের সময়কাল অনেক দিন স্থায়ী হয়। এন্ডোমেট্রিওসিস একটি সমস্যা যেখানে জরায়ুর ভিতরে পাওয়া একটি টিস্যু বৃদ্ধি পায় এবং জরায়ুর বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। এই টিস্যু ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা জরায়ুর বাইরের অংশে এবং অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলে পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথা হতে পারে। এন্ডোমেট্রিওসিসের আরও কিছু উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অনিয়মিত পিরিয়ড এবং অন্ত্রের নড়াচড়ায় ব্যথা, যৌনতা, অন্ত্রের অতিক্রমের সময় ব্যথা, সহবাসের সময় ব্যথা। গর্ভাবস্থা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। মাসিক চক্রের অনিয়ম- অনিয়মিত পিরিয়ড সাইকেলের মধ্যে মিসড পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন হয় না। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস), স্থূলতা, কম ওজন এবং থাইরয়েডের সমস্যা সহ বেশ কয়েকটি কারণে ডিম্বস্ফোটনের অনিয়ম হতে পারে। সেক্সের সময় ব্যথা- ডিসপারিউনিয়া বা সেক্সের সময় ব্যথা, একটি সমস্যা যা একজন মহিলার প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস এবং ফাইব্রয়েড এমন কিছু সমস্যা যা যৌনতার সময় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে ৮। স্ট্রেস, মদ্যপান এবং স্মোকিং-এর কারণে- আধুনিক এই সময়ে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সকলেরই লাইফস্টাইলে এসে গিয়েছে স্ট্রেসের মতো কঠিন বিষয়টি, অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে স্মোকিং এবং মদ্যপানের কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে বন্ধ্যাত্বের মতো বিষয় শরীরে বাড়তে পারে। ৯। একাধিক যৌনসঙ্গী থাকার কারণে- বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, একাধিক যৌনসঙ্গী এবং অনিয়মিত যৌনচর্চার কারণে আপনার মধ্যে ইনফারটিলিটির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কারণ এর ফলে ভ্যাজাইনাল বা পেলভিক ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়, যা থেকে পরে ক্ল্যামাইডিয়া নামে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি অসুখ হতে পারে এবং বন্ধ্যাত্বের মতো কঠিন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ১০। ফাইব্রয়েডের সমস্যা- ফাইব্রয়েড হল ইউটেরাসে হওয়া এক ধরনের টিউমার। এই টিউমারের কারণে মেয়েদের মধ্যে সন্তানধারণে অক্ষমতা দেখা দেয়। তবে, সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চললে এই ধরনের সমস্যাগুলোকে অতিক্রম করা যায়, আধুনিক বিভিন্ন চিকিৎসা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এসি রুমে বসে যে সকল মহিলারা অনেক সময় ধরে কাজ করে থাকেন, তারা ভিটামিন-ডি-এর ওষুধ খেতে পারেন। তাঁদের শরীরে অনেক সময়েই ভিটামিন-ডি-এর অভাব দেখা দেয়। যা থেকে বন্ধ্যাত্ব তৈরি হতে পারে। নারী এবং পুরুষের উভয়ের মধ্যেই সন্তান ধারণের অক্ষমতা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক নিঃসন্তান দম্পতিই সে ভাবে সন্তানধারণে সক্ষম হন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top