জরায়ু ক্যান্সারের কারণ ও লক্ষণ

Predeator24
0
জরায়ু মুখের ক্যান্সার বা সারভাইকেল ক্যান্সার বর্তমানে মহিলাদের আলোচিত একটি রোগ। যা প্রাথমিক অবস্থায় এই ক্যান্সারের কারণে শারীরিক ভাবে খুব একটা কষ্ট অনুভব হয় না এবং তীব্র ব্যথারও সৃষ্টি হয় না। এর ফলে অনেক সময়ে নারীদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয়েছে তা ঠিকভাবে বুঝেই উঠতে পারেনা। কিন্তু ৭ দিনে, ১৫ দিনে এবং ১ মাসে হঠাৎ করে নারীদের জরায়ুতে ক্যান্সার হয় না। এই রোগে আক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত শুরু করে শেষ পর্যন্ত চলে যেতে প্রায় ১০ (দশ) থেকে ১৫ (পনেরো) বছর সময়ও লাগতে পারে। জরায়ু-ক্যান্সারের-কারণ-ও-ভয়াবহতা
মেয়েদের তলপেটের মেদ কমানোর উপায় জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার কারণ জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ১) নারীদের বিশেষ করে ৩৫ বছর এবং ৫০ বছরের মধ্যে এই ২ (দুইটি) বয়সে জরায়ু ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ২) অল্প বয়সে বিয়ে হলে অথবা ১৮ বছরের নিচে। ৩) ২০ (বিশ) বছরের নিচে গর্ভধার এবং মা হওয়া ক্ষেত্রে এই রোগের সম্ভবনা থাকে। ৪) ঘনঘন সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে। ৫) শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা হলে। ৬) বহুগামিতা। ৭) জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পিল এবং অন্যান্য পদ্ধতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে। ৮) বংশগত কারণের ক্ষেত্রে। ৯) ধুমপান এবং এ্যালকোহল জাতিয় খাবার খেলে। ১০) সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যের পরিচর্যার অভাবের ক্ষেত্রে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। জরায়ু ক্যান্সারের প্রতিকার প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ ধরা পড়লে সচেতনতাই একমাত্র সঠিক উপায়। প্রতিটি নারীর ৩০ (ত্রিশ) বছরের উর্দ্ধে হলে অন্তত ৩ বছর পর পর মহিলা ডাক্তার দ্বারা জরায়ু মুখ পরীক্ষা করা উচিৎ। যেকোন বয়সের নারীদের এই রোগের কোন প্রকার লক্ষণ দেখা দিলেই অবহেলা না করে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া। তবে অনেক নারীদের ক্ষেত্রে জরায়ু ক্যান্সার অপারেশনের মাধ্যমে ভালো হয় এবং অপারেশন করতে লজ্জাবোধ করলে দীর্ঘ সময় হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমেও এই রোগের প্রতিকার করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে জরায়ু ক্যান্সারের টিকা বাহির হয়েছে। এ টিকা ১০ বছর থেকে ৪৫ বছরের নারীরা গ্রহণ করতে পারবে। জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ নারীদের জরায়ুর মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার কি কি লক্ষণ থাকতে পারে। ১) অনিয়মিতভাবে মাসিকস্রাব হওয়া। ২) মাসিক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হওয়ার পরেও ১ (এক) বা ২ (দুই) বছর পরেও রক্তস্রাব চলে আসা। ৩) মাঝে মাঝে জরায়ুপথে বাদামি এবং হালকা রক্তমিশ্রিত স্রাব দেখা যাওয়া। ৪) যৌন মিলনের সময় তীব্র ব্যথা অনুভুতি হওয়া। ৫) অতিরিক্ত দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব বের হওয়া। জরায়ু ক্যান্সারের ভয়াবহতা (১) ২০২২ সালে WHO এর সঠিক তথ্য অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীদের জরায়ু ক্যান্সার আক্রমনের হার সবচেয়ে বেশি। (২) বাংলাদেশে প্রায় ৮ কোটি নারীদের মধ্যে অন্তত ৫ কোটি নারী ভয়াবহ জরায়ু ক্যান্সার আক্রমনের ঝুঁকিতে আছে। (৩) বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ (সতেরো) হাজারের বেশি নারী ভয়াবহ জারায়ু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়। (৪) বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর ১০ হাজারের বেশি নারী ভয়াবহ জরায়ু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। (৫) বিশ্বের মধ্যে যতগুলো ক্যান্সার রোগ আছে তার মধ্যে নারীদের জরায়ু ক্যান্সার চতুর্থ নাম্বারে অবস্থান করছে। (৬) নারীদের শরীরের যতগুলো ক্যান্সার রোগ রয়েছে তার মধ্যে জরায়ুর ক্যান্সার দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে। (৭) প্রত্যেক নারীদের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ভয়াবহ জরায়ু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ (আশি) শতাংশ থাকে। (৮) প্রত্যেক দিন ২৮ (আটাশ) জন নারী ভয়াবহ জরায়ু ক্যান্সার রোগে মারা যায়। (৯) বিশ্বের মধ্যে প্রতি ২ (দুই) মিনিটে একজন নারী জরায়ুতে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। (১০) হিউম্যান ও প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে ৯০ (নবাবই শতাংশ) নারীদের জরায়ু ক্যান্সর রোগে আক্রান্ত হয়।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top